এমবিএ পড়ার সময় ব্রান্ড পড়েছিলাম। সেলসের চাকুরির সুবাদে বাস্তবিক ব্রান্ড চিনেও গেছি। তবে অতটা না যতটা ব্রান্ডিং এর সাথে জড়িত হলে হয়। আমি মনে করি ব্রান্ড শুধু কোম্পানী আর পন্যেই নয় বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। ব্রান্ডের সহজবোধ্য বাংলা সম্ভবত ইমেজ/ভাবমুর্তি। প্রতিটি রাজনৈতিক নেতার একটা ইমেজ আছে, অভিনেতার একটা ইমেজ আছে, প্রতিটি ব্যাক্তিরও তার কমিউনিটিতে একটা ইমেজ আছে। টয়োটা আমাদের দেশে বেশি বিক্রি হলেই মার্চিডিজ এর চেয়ে বড় ব্রান্ড নয়।কারন সংখ্যা নয় কোয়ালিটি। সাকিব খান আর শাহরুখ খান দুই দেশের কিং হলেও দুজনের ইমেজ সমান নয় আর ফলোয়ার লেভেল এক নয়। সাকিবের দর্শক আর শাহরুখের দর্শক এর কোয়ালিটি আলাদা।
ঠিক একই ভাবে কমিউনিটিতে কাউকে যদি অকর্মা, চুর, বাটপার ও দুর্নীতিবাজরাই বেশি ফলো করে আর ভালবাসে তার ইমেজ কখনই যাকে সৎ মানুষরা ভালবাসে তার সমান হয় না। ফলোয়ার সংখ্যা কম বেশি অনেক পরের বিষয়। তাই নিজেকে সেলিব্রেটি ভাবার আগে ভাবুন আপনাকে কারা, কোন শ্রেনির, কোন লোক বেশি পছন্দ করে। যদি দেখেন সৎ ও ভালরা ভালবাসে তাহলে চালিয়ে যান। আর যদি দেখেন অকর্মা,চোর,বাটপার ই বেশি তাহলে এই রমযানে ত্বওবা পড়ে জীবনের গতি পরিবর্তন করাই শ্রেয়। অন্তত চুরি যে অন্যায় সেটা না বলে চোরদের নিয়ে বসবাসকরলে তা প্রমান করবে আপনিও চোর !!!
মোঃ ফারুক হোসেন
Post a Comment